এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা -
• শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাখ্যা করতে পারব;
• দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের পুরুত্ব মূল্যায়ন করতে পারব;
• একটি ই-মেইল একাউন্ট খুলে সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারব;
• দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারব।
একটি সময় ছিল যখন আমরা কাউকে প্রশ্ন করতাম যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। তথপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে সময় এমনভাবে পাল্টে গেছে যে আমরা এখন বরং উল্টো প্রশ্নটাই করতে পারি, আমাদের দৈনন্দিন কোন কাজটি করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় না?
একসময় ইন্টারনেটের জন্য বড় ডেস্কটপ কম্পিউটারের দরকার হতো, তারপর সেটি একটু ছোট হয়ে ল্যাপটপ হয়ে গেল। তারপর আরো ছোট হয়ে নেটবুক হলো, আরও ছোট হয়ে ট্যাব/প্যাড হলো এখন সেটি করার জন্যে স্মার্ট ফোন হলেই যথেষ্ট এবং তার দাম এত কমে এসেছে যে অনেকেই এটি কিনতে পারে। একটি স্মার্ট ফোন মানুষ কাছে রাখতে পারে আর তাই সে দিনের প্রতিটি মুহূর্তই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। শুধু তাই নয়, আজকাল প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই তারবিহীন ওয়ারলেস ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়। সেটিকে ওয়াই-ফাই বলে। কাজেই প্রায় সময়েই আমরা ইন্টারনেট সার্ভিস পেয়ে যাই। যে সমস্ত দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে আছে তারা সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট যোগাযোগ ছাড়া একটি মুহূর্তও চলতে পারে না এবং আমরাও খুব দ্রুত সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। আমরা শুধু তোমাদের কয়েকটা উদাহরণ দিই। সাধারণত আমরা দিনটি শুরু করি খবরের কাগজ পড়ে। আজকাল প্রত্যেকটি খবরের কাগজ ইন্টারনেটে থাকে। কাজেই একজন, খবরের কাগজ হাতে না নিয়ে অন-লাইন খবরের কাগজে দিনের খবরা-খবর পেয়ে যেতে পারে। আগে হয়তো কেউ একটি বা দুটি কাগজ পড়ত। এখন যে কেউ সবগুলো কাগজ পড়তে পারে। খবরের কাগজের পাশাপাশি আমরা রেডিও বা টেলিভিশন শুনতাম ও দেখতাম এখন সেটিও ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গেছে। আমরা ইচ্ছে করলে ইন্টারনেটে রেডিও-টেলিভিশন শুনতে বা দেখতে পারি। দিন শুরু করার জন্য আমরা যখন ঘর থেকে বের হই, পথ- ঘাটের তথ্য আমরা ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যাই। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস আমাদের অবস্থানটা নিখুঁতভাবে বলে দিতে পারে এবং সেটি আজকাল প্রায় সব স্মার্ট ফোনেই লাগানো থাকে। তাই কখন কোন পথে যেতে হবে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানটি কোথায় সেটিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। বর্তমান প্রায় সব পাড়িতেই পথ দেখানোর জন্য জিপিএস লাগানো থাকে ।
আমরা যখন আমাদের কাজের জায়গায় পৌছাই তখন আমাদের কাজের ধরনের উপর ইন্টারনেটের ব্যবহার নির্ভর করে। কেউ বেশি আবার কেউবা কম ব্যবহার করে; কিন্তু ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে না এ রকম ব্যাক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অন্য কিছু হোক না হোক আমাদের ইমেইল পাঠাতে হয় কিংবা আমাদের কাছে পাঠানো ইমেইলগুলো পড়তে হয়। ইন্টারনেট থাকার কারণে সেই ইমেইল পাশের ঘর থেকে আসছে নাকি পৃথিবীর অপর পৃষ্ঠ থেকে আসছে তার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
কাজ শেষ করে আমরা যখন বাড়ি ফিরে আসি, দৈনন্দিন কাজে ইন্টারনেট আবার নতুন মাত্রায় ব্যবহার শুরু হয়। আগে আমরা শুধু টেলিফোনে কথা বলতাম, ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ (Bandwidth) বেড়ে যাওয়ায় আজকাল শুধু কথায় আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয় না। আমরা যার সাথে কথা বলছি তাকে দেখতেও পাই। একসময় কেউ যখন বিদেশ যেত, হাতে লেখা চিঠি ছিল যোগাযোগের একমাত্র উপায়। এখন সামনাসামনি দেখে কথা বলা খুব প্রচলিত বিষয় হয়ে গেছে।
দৈনন্দিন জীবনকে আনন্দময় করার জন্য বিনোদনের একটা ভূমিকা থাকে। ইন্টারনেট ছাড়া এই বিনোদন কল্পনা করা কঠিন হয়ে গেছে। প্রায় সব বইই এখন ঘরে বসে ই-বুক হিসেবে পাওয়া সম্ভব। শুধু বই নয়, গান বা চলচ্চিত্রও ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যায়। ব্যান্ডউইডথ যদি বেশি হয়, তখন আর ডাউনলোড করতে হয় না, সরাসরি দেখা বা শোনা সম্ভব। বিনোদনের জন্য অনেকেই কম্পিউটার গেম খেলতে পছন্দ করে, ইন্টারনেট ব্যবহার সেই গেম খেলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আমরা যদি জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করি, তাহলে দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার হয় সামাজিক নেটওয়ার্কে। সেখানে একজন অন্যজনের সাথে ভাব বিনিময় করে, ছবি-ভিডিও বিনিময় করে, কথাবার্তা বলে কিংবা বিশেষ কোনো একটি বিষয়কে আলোচনায় নিয়ে আসে।
ইন্টারনেট আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে কোন কারণে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেলে আমরা খুব অসহায় বোধ করি।
তরুণ প্রজন্ম আজকাল সামাজিক নেটওয়ার্কে (যেমন ফেসবুক) বেশি সময় ব্যয় করছে। কিন্তু ইন্টারনেটের গোলক ধাঁধার বাস্তব জগতের বিনোদন, খেলাধুলা, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন ইত্যাদি থেকে তারা যেন বিচ্ছিন্ন না হয়। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অর্থাৎ সাইবার জগতের বাইরেও যে সত্যিকারের একটি জগৎ আছে তা যেন তরুণ প্রজন্ম উপলব্ধি করে।
দলগত কাজ : একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিনলিপি লিখ।
নতুন শিখলাম : ওয়াই-ফাই, ফেসবুক, ই-বুক, ব্যান্ডউইডথ।
আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রেই যেহেতু ইন্টারনেটের একটি প্রভাব আছে তাই শিক্ষাক্ষেত্রেও তার একটি বড় প্রভাব থাকৰে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তোমরা যারা স্কুলে লেখাপড়া করছ, তারা হয়তো ইতোমধ্যেই সেটি লক্ষ করেছ। তোমরা এ মুহূর্তে যে বইটি পড়ছ, সেটি প্রস্তুত করার সময় ইন্টারনেটকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বই এবং অন্য সকল পাঠ্যবই এনসিটিবির ওয়েবসাইটে রাখা আছে। কোনো কারণে তোমার বইটি হারিয়ে গেলে যেকোনো মুহূর্তে বইটি নিজের ব্যবহারের জন্য তুমি ডাউনলোড করে নিজে পারবে।
আমাদের দেশে শিক্ষার ব্যাপারে ইন্টারনেটকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। তোমরা তোমাদের জেএসসি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যাবে। পরীক্ষার পর ভর্তির জন্যও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজের তথ্যও ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যায়। দেশের অসংখ্য স্কুলকে পরিচালনা করার জন্যও ইন্টারনেটকে ব্যবহার করা হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করা ছাড়াও সরাসরি শিক্ষার ব্যাপারে ইন্টারনেটের বড় ভূমিকা রয়েছে। তোমার পাঠ্যবইয়ের কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে না পারলে তুমি ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারবে, সেখানে কোথাও না কোথাও তুমি সেই বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাবে। কোনো কারণে তথ্য না পেলে ইন্টারনেটে ভূমি কাউকে না কাউকে সেই প্রশ্নটি করতে পারবে। ইন্টারনেটে এক বা একাধিক মানুষ তোমাকে উত্তরটি দিতে পারবে। এক সময় ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার জন্য সবকিছু ইংরেজিতে লিখতে হতো এবং তথ্যগুলো থাকতো ইংরেজিতে। কিন্তু এখন আর সেটি সত্যি নয়। আমাদের বাংলাদেশে পিপীলিকা নামে বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে এবং তোমরা ইচ্ছে করলে বাংলাতে লিখেই তোমাদের প্রয়োজনীয় কিছু ইন্টারনেট থেকে খুঁজে নিতে পারবে। বাংলার তথ্য দেওয়া নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটের বাংলা তথ্যভাণ্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করতে হবে। অনেকের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে তার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
২০২০ এর শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারীর কারণে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। এই সময় ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনলাইনে ক্লাসসমূহ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে, এটি তারই অবদান।
শিক্ষার বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষার আমাদের নানা ধরনের পরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্ট করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাটি কীভাবে করা যায় তার একটি কাল্পনিক (Virtual) প্রদর্শন করা সম্ভব। এই বিষয়গুলো ব্যক্তিগতভাবে একজন বা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গড়ে তোলা সব নগ্ন। সম্মিলিতভাবে গড়ে তোলা জ্ঞানভাণ্ডার ইন্টারনেটে রয়েছে, তাই বিজ্ঞানের অনেক এক্সপেরিমেন্ট যেটি আগে তোমার পক্ষে করা স্য ছিল না এখন তুমি সেটি করার একটি সুযোগ পেতে পারবে।
ইন্টারনেটের কারণে এখন শুধু তোমাদের ক্লাসরুম কিংবা স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে না। আজকাল অসংখ্য চমকপ্রদ কোর্স ইন্টারনেটে দেওয়া আছে এবং যে কেউ সেই কোর্সগুলো গ্রহণ করতে পারে। শুধু স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স দেওয়া হয় তা নয়। মহাকাশে যে স্পেস স্টেশন রয়েছে, সেখানেও শিক্ষার্থীরা মহাকাশযাত্রীদের ভরশূন্য পরিবেশে কোনো একটি পরীক্ষা করে দেখাতে অনুরোধ করতে পারে। মহাকাশচারীরা আনন্দের সাথে সেটি করে দেখান। শিক্ষার্থীরা সেগুলো দেখে নতুন কিছু শিখতে পারে। তোমরা বুঝতেই পারছ ইন্টারনেট এখন শুধু পৃথিবীৰ্য্যাপী লয়, পৃথিবীকে ছাপিয়ে মহাকাশ পর্যন্ত কিস্তৃত হয়েছে।
আমরা এখন কাগজে ছাপা বইয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু খুব দ্রুত ই-বুক কাগজে ছাপা এ-বইগুলোর জায়গা দখল করে নিতে যাচ্ছে। পৃথিবীর যাবতীর বই ই-বুক আকারে সংরক্ষিত থাকবে এবং একজন সেই বইগুলো তার ই-বুক রিডারে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এক সময় একজন মানুষকে শুধু যে কয়টা বই বহন করতে পারত সে কয়টা বই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো। এখন মানুষ যে কোনো মুহূর্তে ইন্টারনেটের কারণে তার প্রয়োজনীয় বইয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, ইচ্ছে করলে তুমি তোমার পকেটে একটি বই নয় আস্ত একটা লাইব্রেরি রেখে দিতে পারবে।
দলগত কাজ : তোমাদের স্কুলে একটি ই-বুক ক্লাব গড়ে তোলার জন্য কী কী বিষয় প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি কর।
নতুন শিখলাম : সার্চ ইঞ্জিন, স্পেস স্টেশন।
ঘটনা-১ : সাকিবের বাবা হঠাৎ সেদিন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাকিবের মা অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেন না। এ সময় দেখা যায়, একটি অ্যাম্বুলেন্স তাদের বাড়ির দরজায় হাজির হয়েছে। সন্ধিৎসু মাকে সাকিব জানায় বাবার অসুস্থতা দেখে সে ইন্টারনেট থেকে ওই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ফোন নম্বর বের করে তাদেরকে ফোন করেছে। সেজন্য তারা এসেছে। সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানোর ফলে সে যাত্রায় সাকিবের বাবার বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
ঘটনা-২ : সুফিয়া এবং তার বাবা-মা এক ছুটিতে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে যায়। হঠাৎ করে এক দুর্ঘটনায় সুফিয়ার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর জন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়। সুফিয়া বাবার জন্য রক্তের প্রয়োজন এ তথ্যটি তার ফেসবুক প্রোফাইলে সবাইকে জানিয়ে দেয়। সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অনেক বাঙালি পরিবার খবরটি জেনে সুফিয়াদের পাশে দাঁড়ায় এবং রক্তের ব্যবস্থা করে।
উপরের দুটি ঘটনাতে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের সফল ব্যবহার বর্ণনা করা হয়েছে। ঘটনাক্রমে দুটোই স্বাস্থ্যবিষয়ক ঘটনা। তবে, অন্যান্য প্রায় সকল সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেট এখন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, পরিবহন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সরকার, সরকারপদ্ধতি এবং রাজনৈতিক হালচালের প্রায় সকল ধরনের তথ্যই সেখানে রয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা সমাধানের প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে তথ্য। ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেটি ব্যবহার করে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। এজন্য ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে হয়। বিশ্বের জনপ্রিয় তথ্য খোঁজার সাইট বা সার্চ ইঞ্জিনের অন্যতম হলো গুগল (www.google.com)। এতে বাংলা বা ইংরেজি ভাষাতে তথ্য খুঁজে বের করা যায় ।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদগণও একটি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছেন, যার নাম পিপীলিকা (www.pipilika.com)। এর মাধ্যমে বাংলাতে তথ্য খোঁজা যায়। শিক্ষাসংক্রান্ত প্রায় সকল ধরনের সহায়ক তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট ওলফ্রামআলফা (www.wolframalpha.com)। এ সাইটে বিভিন্ন গণনার কাজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যারও সমাধান এখানে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য www.khanacademy.com এমন একটি ওয়েবসাইট যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রায় সকল বিষয়েরই প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে।
ইন্টারনেট কেবল তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে এমন নয় বরং কারো তথ্য প্রকাশেও সমানভাবে সহায়তা করে। ফলে, অনেকেই তাদের সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতা নিজেদের ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে অন্যরা সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
এ সকল বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলি ছাড়া দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার জন্য ইন্টারনেটভিত্তিক অনেক সহায়তা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট সাপোর্ট সেন্টারগুলো এর উদাহরণ। এখানে, গ্রাহকগণ তাদের মোবাইল ফোন সংক্রান্ত সমস্যাবলির সমাধান খুঁজে পায়।
আবার অনেক ইমেইলভিত্তিক সেবা কেন্দ্র বিশ্বজুড়ে পরিচালিত হয়। এ সকল সেবাকেন্দ্র থেকে ইমেইলের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা যায় এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান করা যায়।
শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সহজাত প্রবৃত্তি তৈরি হয়। অনেক ইন্টারনেট গেম এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, সেগুলোতে জিততে হলে ব্যবহারকারীকে অনেক ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে হয়। এ সকল গেম খেলার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ব্লগ বা ফেসবুকের মাধ্যমে সমমনা সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা যায়। এর ফলে অনেক স্থানীয় সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, বাংলাদেশের একটি গ্রামের একটি ছেলে অপহৃত হওয়ার পর স্থানীয় ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা সঙ্গে সঙ্গে খবরটি তাদের ব্লগে শেয়ার করেন। স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণও ওই ব্লগের সদস্য হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গোচরীভূত হয়। ফলে প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই অপহৃত ছেলেটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এরূপ নানাভাবে ইন্টারনেট তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে থাকে।
দলগত কাজ : দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেট থেকে কী ধরনের সহায়তা পেতে চাও? দলে আলোচনা করে বর্ণনা কর।
নতুন শিখলাম : ইন্টারনেট গেম, ব্লগে শেয়ার।
ইমেইল কথাটির মানে হলো 'ইলেক্ট্রনিক মেইল' বা ইলেক্ট্রনিক চিঠি । ইমেইলের মাধ্যমে আমরা কোনো লেখা বা ছবি অন্য যেকোনো ইমেইল ঠিকানায় ইলেক্ট্রনিকভাবে পাঠাতে পারি। যাদের ইমেইল ঠিকানা থাকে তাদের প্রত্যেকের একটি করে মেইল বক্স থাকে। কোনো ঠিকানা থেকে ইমেইল এলে তা মেইল বক্সে জমা হয়। ঠিকানাটি যার সে মেইল বক্স থেকে ইমেলটি যখন ইচ্ছা খুলে পড়তে পারে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এ চিঠি পড়ার ও পাঠানোর কাজটি প্রায় সময়ই বিনা পয়সায় করা যায়। বর্তমানে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার ব্যাপারটি অত্যন্ত সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তোমার পরিচিত অনেককেই পাৰে যাদের ইমেইল ঠিকানা আছে।
আজকালকার দিনের সকল স্মার্টফোনেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। তাই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই ইমেইল
যেমন পড়া যায়, তেমনি তা পাঠানোও যায়।
ইমেইলের সাথে তুমি যেকোনো ফাইল যুক্ত করে পাঠাতে পারো। বিভিন্ন রকম ফাইল সেটি হতে পারে কোনো ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল ফাইল বা ছবি। আজকের দুনিয়ায় ইমেইল ছাড়া অনেক ব্যবসার কথা চিন্তাও করা যায় না ।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ইমেইল ঠিকানা খোলা শিখে নেব। সামান্য প্রশিক্ষণেই ইমেইল ঠিকানা খোলা যায়। ইন্টানেটের সাথে সংযুক্ত একটি আইসিটি যন্ত্র থাকলেই বিনামূল্যে ইমেইল ঠিকানা খোলা যায়। ইমেইল অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পৃথিবীর এক প্রাপ্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানো যায়। ইমেইল গ্রহণের জন্য আইসিটি যন্ত্রটি খোলা থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো সময় ইমেইল পাঠানো যায় আবার পড়াও যায়। একই চিঠি একসাথে অনেককে পাঠানো যায়। ইমেইল খোলার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা জরুরি। যেমন অপরিচিত বা সন্দেহজনক ইমেইল এলে তা খোলা উচিত নয়। কারণ এর সাথে ভাইরাস এসে তোমার আইসিটি যন্ত্রটিকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। অতএব সাবধান ||
ইমেইল ঠিকানা খোলা : এখন চলো শিখি কীভাবে ইমেইল ঠিকানা খুলতে হয়। প্রথমেই আমাদেরকে ঠিক করতে হবে কোন ইমেইল সেবাদাতার মাধ্যমে ইমেইল ঠিকানা খুলব। ওয়েবে অনেকগুলো ইমেইল খোলার
সাইট রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রির সাইটগুলোর অনেকগুলোই তোমাদের চেনা। যেমন, ইয়াহ্-মেইল, জি- মেইল, হট-মেইল ইত্যাদি সার্ভিস। আমাদের পরিচিত অনেকেরই এ সার্ভিসগুলোতে ইমেইল ঠিকানা হয়েছে ।
এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হবে। তোমার কম্পিউটারের ব্রাউজারটি চালু করে পছদের সেবাদাতা সাইটটিতে প্রবেশ কর।
সব সাইটেই প্রবেশের পর আমাদের নতুন ইমেইল ঠিকানা (Account) খুলতে সাইন আপ (Sign up বা নিবন্ধন করতে হবে। এ সাইন আপের নিয়ম সব সাইটেই কিছুটা ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় একই। সব সাইটেই একটা ফর্ম পূরণ করতে হয়। ফর্ম পূরণ করা অত্যন্ত সহজ।
সাইটটির নির্দেশনা অনুসরণ করে শেষে 'Create account-এ ক্লিক করলেই হয়ে গেল তোমার ইমেইল একাউন্ট বা ঠিকানা। আইডি (ID) এবং পাসওয়াডটি (Password) গোপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে । অন্যথায় যে কেউ তোমার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে।
ইমেইল খোলার সময় ফরম পূরণ করতে যে সকল তথ্য প্রয়োজন হয় এবং তা খোলার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলো। এক্ষেত্রে আমরা উদাহরণসরূপ ইন্নাহ্ ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছি। তুমি ইচ্ছা করলে অন্য যেকোনোটি ব্যবহার করতে পার। ইমেইল ঠিকানা খুলতে তোমাকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। তবে ইমেইলে বাংলাতেও ঠিঠি আদান-প্রদান করা যাবে। আস্তে আস্তে আমরা এটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে যাব।
জনপ্রিয় সাইট ইন্নাহুতে ই-মেইল খোলার জন্য যা করতে হবে :
(১) ইয়াহুর ওয়েব ঠিকানার বাs : http://www.yahoo.com
(২) "Mail" লেখার উপর ক্লিক কর।
ই-মেইল একাউন্ট খুলতে আমাদের অবশ্যই যা প্রয়োজন হবে: > কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্র > ইন্টারনেট সংযোগ |
(৪) ফরমটি পূরণ কর। এটির সকল তথ্য ইংরেজিতে দিতে হবে :
(ক) First name লেখা বক্সে তোমার নামের প্রথম অংশ লিখ এবং Last name লেখা বক্সে তোমার নামের শেষ অংশ লিখ ।
(খ) 'Yahoo username' লেখা বক্সে তোমার Yahoo ID দিতে হবে।
(i) আইভি লেখা বর্ণ দিয়ে শুরু করতে পার এবং আইভির দৈর্ঘ্য ৪-৩২ Character-এর মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়। আইডি-তে বর্ণ, সংখ্যা, আন্ডারস্কোর ( _ ) এবং ডট (.) ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে তুমি ইয়াকুর পরামর্শ দেখতে পাবে। তোমার পছন্দ হলে তুমি সেটি গ্রহ করতে পার।
(ii) তোমার আইডিটি সহজ-সরল ও বোধগম্য রাখার চেষ্টা করবে।
(iii) আইডি লেখার নমুনা : মনে করো, একজন শিক্ষার্থীর নাম 'Anika' | Anika ' Yahoo ID হতে পারে : anika_dhaka । তাহলে Anika 'র Yahoo Mail Account এর ঠিকানা হবে : anika_dhaka@yahoo.com
(গ)পাসওয়ার্ড টাইপ কর :
(i) ৬ থেকে ৩২ টি বর্ণ, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নের মধ্যে পাসওয়ার্ডের দৈর্ঘ্য সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ইংরেজি Small Letter ও Capital Letter আলাদা বর্ণ হিসাবে বিবেচিত হবে। কোন জায়গার নাম, ব্যক্তির নাম বা ইয়াহু আইডি পাসওয়ার্ড হিসাবে না রাখাই ভালো।
(ii) তোমার পাসওয়ার্ডকে সুরক্ষিত করতে পাসওয়ার্ডে ব্যবহার কর -
> বর্ণ ও সংখ্যা
> বিশেষ ক্যারেকটার (যেমন, @)
>Small Letter Capital Letter - এর মিশ্রণ
(iii) পাসওয়ার্ড টাইপ হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে নিচের কাজগুলো কর > কান্ট্রি নির্বাচন করে মোবাইল নম্বর টাইপ কর।
> তোমার জন্মতারিখ সিলেক্ট কর - এক্ষেত্রে প্রথমে মাস, তারপর দিন এবং সর্বশেষে বছর নির্বাচন করতে হবে।
> জেন্ডার সিলেক্ট কর।
> এরপর বিকল্প রিকভারি নাম্বার (কোন কারণে ইমেইল ID ভুলে গেলে) দিতে হবে এবং এর জন্য কান্ট্রি নির্বাচন করে মোবাইল নম্বর টাইপ কর। > এই মোবাইল ব্যবহারকারীর সাথে তোমার সম্পর্ক টাইপ কর ৷
> Create Account' বাটনে ক্লিক কর।
হয়ে গেলো তোমার ইমেইল একাউন্ট খোলা। তবে তোমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ইয়াহু -তে ই-মেইল একাউন্ট খোলার জন্য একইরকম ফরম সবসময় ব্যবহৃত হয়না। ইয়াহু কর্তৃপক্ষ ই-মেইল একাউন্ট খোলার ফরমটি মাঝে মাঝে পরিবর্তন করে থাকে ।
এখনতো তোমার নিজেরই একটা ইমেইল ঠিকানা আছে; তাই না? পাঠাবে নাকি একটা ই-মেইল ?
ইমেইল পাঠানো
ইমেইল পাঠাতে হলে ইন্টারনেট ব্রাউজার চালু করে যে ওয়েবসাইটে তোমার ইমেইল ঠিকানা রয়েছে সেটিতে প্রবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইয়াহু মেইল ব্যবহার করে কিভাবে একটি ইমেইল পাঠানো যায় তার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলে ।
(১) প্রথমে ব্রাউজার চালু করে ইয়াহু সাইটে ‘Mail' লেখা জায়গায় ক্লিক কর।
(২) তোমার ইয়াহু আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে Sign In - ক্লিক কর।
(৩) এখন Compose লেখা জায়গায় মাউস ক্লিক করে একটু অপেক্ষা কর।
(৪) এখন To -এর পাশে তোমার বন্ধুর ই-মেইল ঠিকানা ও Subject-এ কিছু লিখ । নিচের সাদা জায়গায় চিঠিটি লিখ।
(৫) এখন Send এ ক্লিক করে পাঠিয়ে দাও তোমার ইমেইলটি।
বন্ধুকে বল তার ইমেইল ঠিকানা খুলে দেখতে তোমার ইমেইলটি পেয়েছে কিনা?
কী দেখলে?
এখন পারবে তো যাকে ইচ্ছা ইমেইল পাঠাে আরও কয়েকবার প্রক্রিয়াটি অনুশীলন কর। লেখা হয়ে গেল ইমেইলের মাধ্যমে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া।
ই-মেইল একাউন্ট হতে বের হওয়া (Sign out)
(১) ইয়াহু মেইল-এ তোমার একাউন্টের উপরে ডানদিকে কারসার রাখলেই প্রোফাইল মেনু চলে আসবে।
সেখান থেকে Sign out-এ ক্লিক কর।
এভাবে ইমেইল একাউন্ট হতে বের হওয়া নিরাপদ। ফলে তোমার ইমেইল একাউন্টটিও সুরক্ষিত থাকবে অর্থাৎ ইমেইল আইডি বা পাসওয়ার্ড হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এটাচমেন্ট পাঠানো
এভাবে ইমেইল একাউন্ট হতে বের হওয়া নিরাপদ। ফলে তোমার ইমেইল একাউন্টটিও সুরক্ষিত থাকবে অর্থাৎ ইমেইল আইডি বা পাসওয়ার্ড হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
আমরা আগেই জেনেছি, ইমেইলের সাথে যেকোনো ফাইল যেমন কোনো ডকুমেন্ট ফাইল বা এক্সেল ফাইল বা ছবি বা পিডিএফ ফাইল এটাচমেন্ট দিয়ে পাঠানো যায়। কাজটি একদমই সহজ। উপরের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেইল লেখা শেষ কর। এখন Send বাটন এর পাশে এটাচমেন্ট আইকন টিতে ক্লিক করতে হবে।
নিচের পৃষ্ঠাটি আসবে।
ফাইলটি যে Location-এ আছে তা নির্বাচন কর। এরপর Open Button এ Click করলে ফাইলটি ইমেইলের মাঝে যুক্ত (Attach) হয়ে যাবে। ফাইলের আকার এবং তোমার ইন্টারনেট কানেকশান পতির উপর নির্ভর করবে ফাইলটি এটাচ হতে কত সময় লাগবে। ফাইলটি এটাচ হওয়ার পর আগের নিয়মে Send করলেই ফাইলটিসহ তোমার ইমেইলটি কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
লেখা হয়ে গেল ফাইল এটাচমেন্ট করার প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে শিখতে কয়েকবার অনুশীলন কর।